ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ১৫ মাসের নজিরবিহীন হামলা ও বর্বরতার পর অবশেষে কার্যকর হতে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরাইলের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে দেশটির পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এর আগে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে প্রথম দফায় বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত থেমে যাবে যুদ্ধবিরতি কার্যককর হওয়ার পর। এরমধ্যে গাজার ৪৬ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়াও লক্ষাধিক মানুষ আহত, বহু ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
চুক্তি থেকে জানা যায়, প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। যার মধ্যে নারী, শিশু এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরা অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরাইল প্রথম ধাপে কারাগারে আটক সমস্ত ফিলিস্তিনি নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের মুক্তি দেবে। বন্দিদের সংখ্যা ৯৯০ থেকে ১,৬৫০-এর মধ্যে হতে পারে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, চুক্তির শর্তাবলি সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়েছে। তবে, চুক্তির অনুমোদন নিয়ে ইসরাইলের মন্ত্রিসভায় অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে। নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে চুক্তি অনুমোদন হলে তিনি পদত্যাগ করবেন, যদিও তিনি সরকার ভাঙার হুমকি দেননি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার পর থেকেই গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর এতদিন ধরে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে এসেছে ইসরাইল।
এম এইচ//