আন্তর্জাতিক

বিদেশে সহায়তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নথি ফাঁস, কী আছে ইসরাইলের ভাগ্যে?

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করাসহ নতুন সাহায্য বন্ধ রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরাইল ও মিশরের সামরিক সহায়তা দেশটি বন্ধ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের  ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে এই তথ্য জানা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এক নির্বাহী আদেশে বিদেশি সহযোগিতা বন্ধ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরাইল ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের  তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে। ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ি, আসছে  ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেসব দেশের জন্য বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।

নথি অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নতুন তহবিল অনুমোদিত হবে না বা বিদ্যমান কোনো চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না।’ একইসঙ্গে চলমান প্রকল্পের কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যালোচনা শেষ হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষরিত নথিতে সহায়তা স্থগিতের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান বিদেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি কার্যকর কিনা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা মূল্যায়ন করা অসম্ভব।’ সব বিদেশি সাহায্যের বিস্তারিত পর্যালোচনা আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করবে ট্রাম্প  প্রশাসন।

এদিকে,  ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থায়ন স্থগিতের প্রভাব ইউক্রেনেও পড়তে পারে।  সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময়ে অস্ত্র সহায়তায় বড় ধরণের সহযোগিতা পেয়েছিল ইউক্রেন।

 

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নথি ফাঁস | ট্রাম্প