ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এবার টিউলিপকে এমপি পদ ছাড়ার জন্যও চাপ দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেছে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি। বিভিন্ন জায়গায় টিউলিপের বিরুদ্ধে চলছে জনসংযোগ। সাবেক এই মন্ত্রীর দুর্নীতির বিবরণ নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে দলটির নেতাকর্মীরা।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এবং তার পরিবারেরা সদস্যরা বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল তছরুপ করেছেন।
ক্যামডেনের জ্যেষ্ঠে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ডগলাস এ ইস্যুতে বলেন, টিউলিপকে দেখে সহজ সরল মনে হলেও, বাস্তবে এর ঠিক বিপরীত। কেননা সাড়ে ৩ বিলিয়ন পাউন্ড আর্থিক নয়-ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস জানান, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিক আরও সতর্ক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত বাড়িগুলোর কর এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার যথার্থতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়াটাও অনাকাঙ্ক্ষিত।
এর আগে, টিউলিপ সিদ্দিক গেলো ১৪ জানুয়ারি ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর ঠিক ২৬ দিন আগে ডেইলি মেইলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তের খবর প্রকাশিত হয়। সাবেক এই দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী লেবার পার্টির প্রধান ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
জেএইচ