মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পুরোপুরি খালি করার পরিকল্পনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উপত্যকাটির সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাইম বলেন, এই ধরনের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি জনগণ ব্যর্থ করে দিবে।
এর আগে,শনিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুরোপুরি পরিষ্কার করতে মিশর ও জর্ডানকে আরো বেশি করে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নেয়ার আহ্বান জানায় ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, আমি চাই জর্ডান, মিশর ও আরব দেশগুলো গাজা থেকে আরও ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করুক। আমরা সম্ভবত এখানে ১৫ লাখ মানুষ নিয়ে কথা বলছি। আসুন আমরা ওই পুরো জায়গাটি পরিষ্কার/সাফ করে ফেলি। ওই ভূখণ্ড নিয়ে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে একের পর এক সংঘাত হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে সেখানে কিছু একটা হওয়া উচিত।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে হামাস বলে, এই পরিকল্পনা যুদ্ধাপরাধকে উৎসাহিত করবে। ‘আমাদের জনগণকে জোর করে তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করা মানবতাবিরোধী অপরাধ।‘
এ বিষয়ে কাতারের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আরিয়ান আল-জাজিরাকে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে গুরুত্বসহকারে নেয়া উচিত। কেননা, গত কয়েক বছর এই ধরনের দাবি আমরা শুনে আসছি। যুদ্ধ শুরুর দিক থেকে ইসরাইলি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিগত নিধনের ইঙ্গিত দিয়েছিলো।
গত ১৫ মাস ধরে গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছে হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার একদিন আগে গত রোববার থেকে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ইসরাইল ও হামাস। এর ফলে বাস্ত্যুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা গাজায় ফিরতে শুরু করেছে।
এনএস/