সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিদ্রোহ করার চেষ্টার অপরাধে দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের বিরুদ্ধে রোববার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। দেশটির বিরোধী দলের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির প্রসিকিউটরের অফিস এ নিয়ে কোন বিবৃতি দেয়নি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ইউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের খবর ছাপা হয়েছে।
এই ঘটনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। কেননা, এর আগে দেশটির কোন প্রেসিডেন্টকে এরকম ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় সাজার মুখোমুখি হতে পারেন ইউন।
বিরোধী দলের সঙ্গে বিরোধের জেরে গেলো ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির করেন ইউন সুক ইউল । এতে এশিয়ার চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশটিতে দেখা দেয় অস্থিরতা।
আদালতে অভিশংসিত হওয়ার পরে গেলো ১৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন ইউন সুক ইউল। ইউনের পাশাপাশি দেশটির বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বর্তমানে বিচারের মুখে আছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন প্রেসিডেন্ট যে অল্প অভিযোগগুলো থেকে দায়মুক্তি পান না তার মধ্যে ‘বিদ্রোহ’ অন্যতম। এই অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড। তবে কয়েক যুগের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মত ঘটনা ঘটেনি।
এনএস/