আমদানি এবং শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগের পর এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি চালের বাজার। এছাড়া বেড়েছে গরুর মাংস ও মাছের দাম। তবে এখনও নাগালে আছে সবজির দাম।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
জানা যায়, বাজারে বর্তমানে শালগম প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকা, ধরনভেদে শিম ৩০-৫০ টাকা ও টমেটো ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া বেগুন ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা ও লাউ ২০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি এখন ২০-২৫ টাকা।
কয়েক সপ্তাহ উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকার পর, আবারও দামের আঁচ লেগেছে মাছের বাজারে। বেশিরভাগ মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নদীর মাছের দাম বেড়েছে আরও বেশি। সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজির নিচে মিলছে না বড় আকারের চাষের রুই-কাতলা। এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজির নিচে মিলছে না চিংড়ি। মাঝারি আকারের আইড়, বোয়ালের জন্য পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে ২ হাজার টাকার বেশি।
শবে বরাত উপলক্ষে গরু আর খাসির মাংসের দাম বাড়িয়েছিলেন দোকানিরা। এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকা কেজিতে। গরুর মাংসের জন্য গুণতে হবে সাড়ে সাতশো থেকে আটশো টাকা।
এছাড়া কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় দামের চড়াবস্থা বিরাজ করছে পোল্ট্রি বাজারেও। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে এক কেজি দেশি মুরগির জন্য গুণতে হচ্ছে ছয়শো থেকে সাড়ে ছয়শো টাকা। ৩২০ টাকা কেজির নীচে মিলছে না সোনালী জাত।
এদিকে রমজানের আট দিন বাকি থাকলেও বাজারে ফেরেনি উধাও হওয়া ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল। সংকট রয়েছে ১ ও ২ লিটারের বোতলেও। তবে চিনি, ছোলা, ডালের দাম কমতির দিকে।
ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদামতো সয়াবিন তেল না পাওয়ায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। ৫০ থেকে ৫২ টাকায় মিলছে মোটা চাল। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানির প্রভাব পড়েনি বাজারে। কেননা যৌক্তিক দামে একই মানের চাল আনা যায়নি।
আই/এ