চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সহজ জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচটি ৪৫ বল বাকি রেখেই জিতেছে রোহিত শর্মার দল। দুবাইয়ে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তা। দলটি ২৪১ রানে গুটিয়ে যায়, যখন শেষ ওভারের খেলা চলছিল।
সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ভিরাট কোহলি পেয়েছেন তার ৮২তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির দেখা। কোহলি ১১১ বল খেলে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংসে ছিল ৭ টি চারের মার।
ফিফটি করেছেন শ্রেয়াস আইয়ার (৫৬)। এছাড়াও শুবমান গিল ৪৬ রান করেছেন।
ওপেনার রোহিত শর্মা মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ২০ রানে আউট হলে দায়িত্ব নেন কোহলি। গিলের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন তিনি। গিল অবশ্য ফিফটি করতে না পেরেই বিদায় নেন। এরপর আইয়ার যুক্ত হন কোহলির সঙ্গে। আইয়ার নিজের অর্ধশতক তুলে নেন।
ম্যাচের এক পর্যায়ে ৪ রান দরকার ছিল ম্যাচ জিততে, কোহলির ১০০ হতে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। এরপর কোহলি একটি সিঙ্গেল নেন, অক্ষর প্যাটেল আবারও কোহলি স্ট্রাইক দেন। জিততে যখন ২ রান প্রয়োজন, কোহলি একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বসেন।
আর এতেই ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫১তম শতকের দেখা পেয়ে যান কোহলি। আর পাকিস্তানের বিপক্ষেও আকাঙ্ক্ষিত জয় পেয়ে যায় ভারত।
পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২ উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে, পাকিস্তান সব উইকেট হারিয়ে ৪৯.৪ ওভারে ২৪১ রান সংগ্রহ করে। পাকিস্তানের এই অর্জিত সংগ্রহ কিছুটা কম এই মাঠের জন্য। মিডল ওভার গুলোতে বলের সঙ্গে রানের সামঞ্জস্য তেমন হয়নি। দলীয় ৫০ রান আসার আগেই ২ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। পরপর বাবর আজম ও ইমাম উল হক ফিরলে দলকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল।
তবে দুজনেই নিজেদের ইনিংস শুরু করেন বেশ ধীরে। এই জুটি বোর্ডে ১০৪ রান তোলে ১৪৪ বলে। রিজওয়ান যখন ৭৭ বলে ৪৬ রান করে ফিরেছেন, দলের রান ১৫১। এর কিছুক্ষণ পরেই বিদায় নেন শাকিল। তার ব্যাটে আসে ৭৬ বলে ৬২ রান।
আগা সালমান ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তৈয়্যব তাহিরও রান পাননি। তবে একপ্রান্তে আগলে ছিলেন খুশদিল শাহ। তার ব্যাটে আসে ৩৯ বলে ৩৮ রান। তিনি শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ফিরলে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। মাঝে নাসিম শাহ খেলেছেন ১৬ বলে ১৪ রানের ইনিংস।
ভারতের পক্ষে বল হাতে কুলদীপ যাদব একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন। হার্দিক পান্ডিয়া নিয়েছেন ২ টি। হারশিত রানা ও রবীন্দ্র জাদেজা ১ টি করে উইকেট নেন।
এমএইচ//