এবার এক সঙ্গে জ্বলে উঠলো ইরান সমর্থিত হুতি ও হিজবুল্লাহ। মার্কিন যুদ্ধবিমান ও ড্রোন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। অন্যদিকে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে প্রতিরোধের হুমকি দিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান ও এমকিউ-নাইন রিপার গোয়েন্দা ড্রোন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুজন মার্কিন কর্মকর্তা। এই হামলা লোহিত সাগরে নাকি ইয়েমেনের আকাশসীমায় হয়েছে, সে বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা কিছু বলেনি। তবে কর্মকর্তাদের একজন জানান, হুতি বিদ্রোহীরা ধীরে ধীরে তাদের নিশানার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠিটির নেতা আব্দুল মালিক হুতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যদি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়, তবে লোহিত সাগরে এসব দেশের জাহাজে হামলা করা হবে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রদের পণ্যবাহী জাহাজে শতাধিক হামলা চালায় হুতি। গোষ্ঠিটিকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা দেয় ইরান। হুতিদের হাতে আছে ভূমি থেকে আকাশে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র থ্রি ফাইভ এইট।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহর জানাযা চলাকালীন ইসরাইলি বেশ কিছু যুদ্ধবিমান লেবানের আকাশে মহড়া দিয়েছে। দেশটির রাজধানী বৈরুতের একটি স্টেডিয়ামে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলো ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি।
ইসরাইলি এই বিমান মহড়ার পর ইরানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে হিজবুল্লাহ নেতা নাইম কাশেম জানান, তারা খোমিনী ও খামেনীর সন্তান। মাথার ওপর যদি তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়ে, তবুও তারা প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।
অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, হাসান নাসরুল্লাহ এই অঞ্চলের প্রতিরোধ বাহিনীর মহান মুজাহিদ। ইনশাআল্লাহ, যারা তাকে অনুসরণ করবে তাদের জন্য পথ আলোকিত হবে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রক্সি হিসেবে কাজ করে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ।
এনএস/