বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী নারী শ্রমিকদের প্রসূতিকালীন ছুটি ১৬ সপ্তাহ বা ১১২ দিন। এ ছুটি বাড়িয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে শ্রম ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার একজন শ্রম অধিকারকর্মীর নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শ্রম অধিকার সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই কমিশন আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের সব শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে শ্রমজীবী মানুষের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শ্রম সেক্টরের সমস্যাগুলো পরীক্ষান্তে মার্চ এর মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রম আইন সংশোধন করতে ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের বিশেষ করে আইএলওসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধনের একটি মূল দিক হলো ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও কার্যক্রমের সহজীকরণ। শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সম্মিলিত দর কষাকষির উপর গুরুত্বারোপ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে আরও সহজ এবং স্বচ্ছ করার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশনের আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের শ্রম ইস্যুতে এ অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ