প্রযুক্তিনির্ভর সময়ে হেডফোন, ইয়ারবাডের অতিরিক্ত ব্যবহারে শ্রবণশক্তির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।বিশেষ করে টাইনিটাসের মতো নীরব ঘাতক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ভারতীয় অডিয়োলজি বিশেষজ্ঞ ড. সুগত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দীর্ঘসময় কানে ইয়ারবাড বা হেডফোন ব্যবহার করলে টাইনিটাস বা স্থায়ী কানের অস্বাভাবিক শব্দের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ড. ভট্টাচার্য বলেন, ফুল ভলিউমে গান শোনা বা লাউড নয়েজের মধ্যে বেশি সময় থাকা টাইনিটাসের অন্যতম কারণ। মূলত ইয়ারবাড সরাসরি কানের ভেতরে বসানো হয় যেটি কানের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর। মানসিক চাপ ও ক্লান্তি বাড়িয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চারপাশ নীরব থাকলেও যদি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, ফোনের রিংটোন বা বিকট শব্দ কানে বাজতে থাকে, তবে সেটিই টাইনিটাস। এটি জোরে শব্দের সংস্পর্শ, কানের সংক্রমণ, উচ্চ রক্তচাপ বা মানসিক চাপের কারণে হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে টাইনিটাসের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে সাউন্ড থেরাপি, কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি এবং কিছু নির্দিষ্ট লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্রতিরোধের উপায়: হেডফোন সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে, জোড়ে ভলিউম পরিহার করতে হবে, মানসিক চাপ কমাতে হবে, সঠিকভাবে ডায়েট মেনে চলতে হবে, লবণ-চিনি ও ক্যাফেইন গ্রহণ কমাতে হবে, মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
কাজের প্রয়োজনে হেডফোন ব্যবহারের নিয়ম: যারা পেশাগত কারণে হেডফোন ব্যবহার করেন, তারা নয়েজ-ক্যানসেলিং হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন, যা কম ভলিউমে স্বচ্ছ শব্দ দেয়। বিশেষজ্ঞরা ৬০ শতাংশের বেশি সাউন্ড না বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং দিনে ৬০ মিনিটের বেশি হেডফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন।
এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে শ্রবণশক্তি ভালো থাকবে এবং টাইনিটাসের ঝুঁকি কমবে।
এসকে//