দেশের আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্য দিতে তলব করেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
শনিবার (০৮ মার্চ) কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ব্যক্তিরা সরাসরি কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে অথবা অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
যাদের সাক্ষ্য নেয়া হবে:
১. সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২. সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক (অব.)
৩. ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস
৪. গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম
৫. ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক
৬. জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম
৭. ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম
৮. বিডিআরের ৪৪ ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ শামসুল আলম (অব.)
৯. সাবেক ডিজিএফআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর (অব.)
১০. সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদ (অব.)
১১. সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ (অব.)
১২. সাবেক র্যাব মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার
১৩. সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ
১৪. সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ
১৫. সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাক্ষ্য প্রদান অপরিহার্য হয়ে পড়ায় সাক্ষ্যদাতারা সরাসরি কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বা অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দিতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে সাক্ষীরা তাদের সুবিধাজনক সময়সূচি কমিশনকে জানাতে হবে (ফোন, ই-মেইল বা চিঠির মাধ্যমে)। কেউ অসহযোগিতা করলে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গেলো ৫ মার্চ জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে (bdr-commission.org) একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে জনগণকে উৎসাহিত করা হয় তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য দিয়ে কমিশনকে সহায়তা করতে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ৪৯ দিনের মাথায়, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা এই ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসি//
