ভাবতে পারেন, একটা আস্ত দেশ, অথচ সেখানে এক শতাব্দীর কাছাকাছি সময় ধরে জন্ম নেয়নি একটি শিশুও! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন—এই বিস্ময়কর তথ্যের পিছনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ, ভ্যাটিকান সিটি।
এই দেশটিতে নেই কোনো হাসপাতাল, আর তাই জন্মের মতো স্বাভাবিক ঘটনাও সেখানে ঘটে না। কেউ অসুস্থ হলে বা কোনো নারী গর্ভবতী হলে, তাদের পাশের দেশ ইতালির রোমে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসা শেষে ব্যক্তি নিজ দেশে ফিরে আসেন। ফলে ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে কোনো শিশুর জন্ম হয়নি।
কেন ভ্যাটিকানে জন্ম হয় না?
ভ্যাটিকান সিটি আসলে রোমান ক্যাথলিক চার্চের ধর্মীয় ও প্রশাসনিক কেন্দ্র, যেখানে পোপসহ উচ্চপদস্থ যাজকরা বসবাস করেন। দেশটির আয়তন মাত্র ১১৮ একর—একটি বড় পার্কের চেয়েও ছোট! এত কম জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ সম্ভব নয় বলে সেখানে কখনো হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি।
ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা মাত্র ৮০০-৯০০ জন, যাদের প্রায় সবাই ধর্মীয় নেতা বা যাজক। ফলে গর্ভবতী নারীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আর এই কারণেই প্রায় এক শতাব্দী ধরে ভ্যাটিকান সিটিতে কোনো শিশুর জন্ম হয়নি!
সূত্র: নিউজ এইটটিন
এসি//