লাইফস্টাইল

শিশুর এই অভ্যাসগুলি বদলান, না হলে হতে পারে সর্বনাশ

বায়ান্ন বিনোদন ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ছোট পরিবারে বেড়ে ওঠার ফলে আজকাল অনেক শিশুর মধ্যে জেদি মনোভাব এবং কিছু খারাপ অভ্যাস তৈরি হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। একান্নবর্তী পরিবার এখন প্রায় অতীত, আর বেশিরভাগ শিশুই মা-বাবার সঙ্গে ছোট পরিবারে বেড়ে উঠছে। মা-বাবা তাদের প্রতি অতিরিক্ত নজর দেন, যার ফলে তারা মাঝে মাঝে নিজের মনমতো জেদি হয়ে ওঠে। কোন কোন অভ্যাস অবিলম্বে আপনার শিশুর পরিবর্তন করা প্রয়োজন চলুন, জেনে নেয়া যাক।

১. স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার : বর্তমানে বেশিরভাগ শিশুই মোবাইল বা স্মার্টফোনে আসক্ত। দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে চোখের সমস্যা, ঘুমের অভাব এবং মনোযোগের ঘাটতি হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব, শিশুকে মোবাইল থেকে দূরে রাখুন এবং এর ব্যবহার সীমিত করুন।

২. সব দাবি মেনে নেয়া : অনেক সময় আমরা শিশুর প্রতিটি দাবি মেনে নিই, কিন্তু এর ফলে তার মধ্যে অহংকার ও জেদ তৈরি হতে পারে। শিশুদের 'না' বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন, যাতে তারা বুঝতে পারে না পাওয়ার যন্ত্রণা এবং সেটি মেনে নিতে শিখে।

৩. অতিরিক্ত সুরক্ষা বন্ধ করুন : শিশুকে সবসময় অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবেন না। মাঝে মাঝে তাকে একা থাকতে দিন, যাতে সে স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাঠ শিখতে পারে।

৪. নিজের চাহিদা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে শেখানো : শিশুকে তার চাহিদা এবং আবেগ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে শেখান। এর ফলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং কথা বলার দক্ষতা উন্নত হবে। 

৫. নিজের কাজ করতে শেখান : শিশুকে ছোট ছোট কাজ করতে দিন, যেমন নিজের স্কুল ব্যাগ গোছানো, খাওয়া শেষ হলে থালা তুলে নেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ তাকে দায়িত্বশীল এবং স্বতঃস্ফূর্ত করবে।

৬. নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করুন : শিশুর খাওয়ার এবং ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করুন। এতে শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলা এবং নিয়মিততা তৈরি হবে, যা তার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে। 

৭. আবেগের প্রতি মনোযোগ দিন : শিশুর আবেগকে অবহেলা করবেন না। তার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলুন এবং তার অনুভূতি মন দিয়ে শুনুন। এটি শিশুর মানসিক ও আবেগগত বিকাশে সাহায্য করবে।

৮. জোর করে খাওয়ানো বন্ধ করুন : শিশুকে জোর করে খাওয়ানোর পরিবর্তে, তাকে নিজের ইচ্ছামতো সময় দিন। এতে শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং সে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করবে। 

এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করলে শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস, স্বাধীনতা এবং দায়িত্বশীলতা বাড়বে, এবং সে সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন একান্নবর্তী | ভবিষ্যতের জন্য