ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইনকিলাব মঞ্চ গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, এই মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। অবিলম্বে গণহত্যার দায়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। দুই হাজারের বেশি শহীদ এবং হাজার হাজার আহতের রক্তের শপথ, আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দিবো না। আওয়ামী লীগ মানেই খুনি’।

 

তিনি বলেন, ইজরায়েল এবং এশিয়ার ইজরায়েল ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দিলে ভারতের সাহায্যে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিয়ে নেবে। তারপর দেশে আবার নারকীয় তাণ্ডব চালাবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে একটি পোস্ট দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক) হাসনাত আবদুল্লাহ

তাতে তিনি লেখেন, আজকেও একটি চাপকে অস্বীকার করে আমি আবারও আপনাদের ওপরেই ভরসা রাখতে চাই। এ পোস্ট দেয়ার পর আমার কী হবে, আমি জানি না। নানামুখী প্রেশারে আমাকে হয়তো পড়তে হবে, হয়তো বিপদেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো ধরণের আপস করার সুযোগ নেই।

তিনি আরও লেখেন,কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগনামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। আমিসহ আরও দুজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায়। আমাদের প্রস্তাব দেয়া হয়, আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এ প্রস্তাব মেনে নিই

 

আই/এ