রাজধানীর ধানমন্ডিতে জুয়েলার্স মালিক এম এ হান্নান আজাদের বাড়িতে ঘটানো দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ধরতে সাহসিকতা দেখানোর জন্য পাঁচ শ্রমিককে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া, তারা পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে নিয়োগও পেতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডিতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের প্রতিরোধ করা এবং তাদের ধরতে সহায়তা করায় পাঁচজন শ্রমিকের নাম পাওয়া গেছে। সাহসিকতার জন্য ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী পাঁচ শ্রমিকের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া এই পাঁচজনকে অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।’
চলমান রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডিএমপি বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জানিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, ‘এ সময় টহল জোরদার, কৌশলগত জায়গায় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া দু-একটি যে ঘটনা ঘটছে সেগুলোর সঙ্গে সঙ্গে উদঘাটন করে আসামি গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এর মধ্যে কেউ যদি অপরাধ করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, ধানমন্ডিতে জুয়েলার্স মালিক এম এ হান্নান আজাদের বাড়িতে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি কালো রঙের র্যাব লেখা জ্যাকেট, তিনটি র্যাব লেখা কালো ক্যাপ, দুটি মাইক্রোবাস, পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি লোহা তৈরি ছেনি, একটি পুরনো স্লাই রেঞ্জ ও নগদ ৪৫,১০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘ডাকাতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মোট ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি টিম জড়িত ছিল। তাদের মূল পরিচয় উদঘাটন করে বিস্তারিত জানানো হবে। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার হওয়া ছয় ডাকাত এলোপাতাড়ি তথ্য দিয়েছেন এবং তাদের রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন: ফরহাদ বীন মোশারফ (৩৩), ইয়াছিন হাসান (২২), মোবাশ্বের আহাম্মেদ (২৩), ওয়াকিল মাহমুদ (২৬), আবদুল্লাহ (৩২), সুমন (২৯) ও গাড়িচালক সুমন (২৯)।
এসি//
