রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় বাড়ার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ২০.২৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা এক মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড।
এর আগে, গেলো ৯ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিলো, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির আমদানি বিল পরিশোধে ১.৭৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে, যার ফলে নিট রিজার্ভ কমে ১৯.৭৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
এছাড়া গেলো জানুয়ারির শুরুতে আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বরের আমদানি বিল পরিশোধে ১.৬৭ বিলিয়ন ডলার খরচ হওয়ায় রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নিট রিজার্ভ নির্ধারণে আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যেখানে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়।
বিশ্ববাজারে ডলার সংকট এবং আমদানি ব্যয়ের চাপ থাকা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা স্বস্তির জায়গায় এসেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এমএ//