বাংলাদেশ দলের আগামী দুই বছর কাটবে ভীষণ ব্যস্ততায়। খেলার পর খেলায়, দম ফেলার সুযোগ থাকছে না। আগামী ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত যে ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা (এফটিপি) সাজানো হয়েছে, সেখানে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্বকারীদের জন্য অপেক্ষা করছে ম্যাচের পর ম্যাচ।
আগামী ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত কেবল চলতি বছরের ডিসেম্বর ও ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে কোনো খেলা থাকবে না বাংলাদেশের। এছাড়া এক মাসের বেশি ফাঁকা কোনো সময় নেই। দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে ১৬ টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
এরমধ্যে তিন সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আছে ৩ টি। তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ আছে ৫ টি। দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ হবে ১ টি।
মোট ১৬ টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ১৮ টি টেস্ট, ৩২ টি ওয়ানডে ও ৩২ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আছে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
চলতি মাস এপ্রিলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর মে মাসে পাকিস্তানের মাটিতে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। এরপর জুন মাসে শ্রীলঙ্কাতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল।
জুলাই মাসে ৩ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। আগস্টে ৩ টি-টোয়েন্টি ও ৩ ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশে আসবে ভারতীয় দল।
অক্টোবরে ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে ২ টি টেস্ট, ৩ টি ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ (চলতি বছর)
এপ্রিল
হোম সিরিজ- বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে : ২ টেস্ট
মে
অ্যাওয়ে সিরিজ- বাংলাদেশ–পাকিস্তান : ৫ টি-টোয়েন্টি
জুন
অ্যাওয়ে সিরিজ- বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা : ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি
জুলাই
হোম সিরিজ- বাংলাদেশ–পাকিস্তান : ৩ টি-টোয়েন্টি
আগস্ট
হোম সিরিজ- বাংলাদেশ–ভারত : ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি
অক্টোবর
হোম সিরিজ- বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি
নভেম্বর
হোম সিরিজ- বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড : ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি
এমএইচ//