রমজান মাসে সবজির দাম কম থাকলেও ঈদের পর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। ৭০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি। বাজারে অধিকাংশ সবজি সবজি ৭০ থেকে ১০০ এর আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে মুরগির ও ডিমের দামে। ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশ টাকার নিচে নেমে এসেছে, তেমনি ডিমের দামেও রয়েছে স্থিরতা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ১৯০ থেকে ২০০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সোনালী মুরগির কেজি এখন ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।
তবে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। এক কেজি পাঙাশ কিনতে ক্রেতার ২০০-২৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে, যা ঈদের আগেও ১৮০-১৯০ টাকা ছিল। পাবদা, টেংরা, রুইসহ বেশির ভাগ মাছের দাম গেলো সপ্তাহের তুলনায় ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে করলা, ঝিঙা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, পটোল, ঢ্যাঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।
তবে রমজান শেষ হলেও কাটেনি সয়াবিন তেলের সংকট। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের অভিযোগ তেলের সরবরাহ কম থাকায় বাজারে তেলের সনহকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে রাজধানীর মাছের বাজারগুলোতে নদীর দেশি চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগেও ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা ছিল। চাষের চিংড়িও বেড়ে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা হয়েছে। ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে টেংরা মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
এছাড়া শিং ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, শোল ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি পুঁটি মাছও বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। বড় আকৃতির রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। পাঙ্গাস ও তেলাপিয়ার মতো সাধারণ চাষের মাছও বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
এমএ//