রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল ও মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলম। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মেঘনার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব শুনানিতে অংশ নেন। তারা আদালতকে জানান, মেঘনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং দায়ের করা মামলা ভিত্তিহীন। তারা নারী বিবেচনায় যেকোনো শর্তে তার জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল মামলাটিতে মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করত।
এ চক্রের মূল পরিকল্পক দেওয়ান সমির, যিনি কাওয়াই গ্রুপের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সুন্দরী মেয়েদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়ে কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে সহজ প্রবেশাধিকার তৈরি করতেন এবং পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করতেন।
উল্লেখ্য, দেওয়ান সমিরের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় গত ১২ এপ্রিল তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর ১৭ এপ্রিল ধানমণ্ডি থানার মামলায়ও তার পাঁচ দিনের রিমান্ড হয় এবং ২২ এপ্রিল আরও চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
রিমান্ড শেষে গত ২৭ এপ্রিল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে সোমবার শুনানির পর আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এসি//