দেশজুড়ে

কালবৈশাখী ঝড়ে ফসল ও মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি

কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বোরো ধান, ভুট্টার ক্ষেত, আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা ও সুপারি সহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল-ফলাদি এবং বনজ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৪ টার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের সাথে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষাণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, উপজেলা  জুড়ে কালবৈশাখীর ঝড়ে ১৮ হেক্টর বোরো ধান, ৩৫ হেক্টর ভুট্টা ও ১ হেক্টর শাক-সবজি হেলে পড়েছে। তাছাড়া আম,কাঁঠাল, লিচু, কলাসহ বিভিন্ন ধরতি ফল ব্যাপকভাবে ঝরে পরেছে। গাছপালা উপরে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

শিমুলবাড়ী এলাকার ধান চাষি আইয়ুব আলীএমদাদুল ও ভুট্টা চাষাবাদ আবেদ আলী জানান, তাদের প্রত্যেকের এক দেড় বিঘা ধান ও ভুট্টা ঝড়ে হেলে পড়েছে। তার ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষাণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানানগত শনিবারের রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২২ থেকে ৩২ কিলোমিটার। এর সাথে ৪০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার ২৮ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৪ টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩৭ কিলোমিটার এবং এর সাথে ৩.৯ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, ঝড়ে ফসল নুয়ে পড়লেও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। তারপরও কৃষি বিভাগ ঝড়ে হেলে পরা ক্ষেতের কৃষকদের ফসল রক্ষার জন্য পরামর্শ অব্যাহত রেখেছে।

কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায় বলেন, ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছপালা অপসারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো রোববার সকাল থেকে কাজ করছে। সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য তারা নির্দেশনা দিয়ে আসছেএছাড়াও দুযোগ ব্যবস্থাপনা শাখাকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কুড়িগ্রাম | কালবৈশাখী