পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী থেকে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া হাজিপাড়া পর্যন্ত ইউনি ব্লক সড়ক নির্মাণের কাজে অনিয়মের অভিযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মিলিত ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁও এর সহকারি পরিচালক ইমরান হোসেন।
দুদকের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তেঁতুলিয়া কার্যালয়ে গিয়ে সড়কটির কাজের অগ্রগতি ও নথি যাচাই বাছাই করেন তারা। সংগৃহীত নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সড়ক নির্মানে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা ও অনিয়মের খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারও হয়। সড়ক নির্মাণে বালির পরিবর্তে মাটিযুক্ত বালি/মাটি ফেলে কাজ করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে গত ১৯ এপ্রিল বিকালের দিকে সেই সড়কের খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেয় ঠিকাদারের লোকজন৷
তেঁতুলিয়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী খান বলেন, ‘সেই সড়কে দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও এর সহকারী পরিচালক আসছিলেন। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে ছিলাম। আমার রাস্তার স্পট থেকে বালি ও খোয়া ল্যাব টেস্টের জন্য দুদক টিম নিয়ে গেছে। তবে আমার যে উন্নয়নমূলক কাজ চলতেছে ইটের খোয়া ও বালির মান খুবই ভালো। খারাপ করার কোন সুযোগও নাই’।
উপজেলা প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে তিরনইহাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী থেকে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হাজিপাড়া পর্যন্ত ৬ হাজার ২১০ মিটার ইউনি ব্লক সড়ক নির্মাণে চুক্তিমূল্য ১১ কোটি ৯৮লাখ ৭৫ হাজার ১৯২ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ জেলা শহরের ভুতের গলির মো. মিজানুর রহমান। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান।
আরও জানা যায়, দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারের কাছ থেকে রাস্তা নির্মাণ কাজটি নিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের তানিয়া কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ। বর্তমানে সড়কটির আব্দুস সামাদ কাজটি করছেন,তিনি গত ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে সড়কটির কাজ শুরু করেন এবং কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ১২ মার্চ৷ আর এই সড়কে ০.৫ এফএম বালি দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে ।
আই/এ