বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ১৬ বছরে কেউ ভোট দিতে পারে নাই। নির্বাচনের জন্যেই আন্দোলন সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে। তাই সংস্কারের নামে নির্বাচন বন্ধ রাখার কোন অর্থই হয় না।
শনিবার (৩ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জ এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেমোরিয়াল লাইব্রেরী মিলনায়তনে সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি সংস্কারের পক্ষে উল্লেখ করে টুকু বলেন, যে সকল দল যেসব পয়েন্টে একমত হয়েছে সেগুলোর জন্য প্যানেল তৈরী করে সংস্কার করে নির্বাচন করা যাবে। এর জন্য আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগবে কেন? ডিসেম্বর মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, হাসিনার পতন যুব সমাজকে জাগ্রত করেছে, বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে সব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ভারসাম্য, একজন দুই বারের বেশী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না ও অর্থনৈতিক সংস্কার সব ধরনের সংস্কার।
বিচার বিভাগের সংস্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে বিচারকরা বিচার করতো না। হাসিনার থেকে ওহী নাযিল হতো বিচারকরা সেটাই বাস্তবায়ন করত।
এ বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনাসহ দোসরদের বিচার সবাই চায়। বিএনপিও চায়। কিন্তু একটি বিচার কার্য সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে অন্তত ৪-৫ বছর সময় লেগে যায়। তাই বিচারের জন্য নির্বাচন বন্ধ রাখা চলবে না।
টুকু বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পিতা হত্যার বদলা নিতে গিয়ে দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসা মানেই ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। ৭১-৭৫এর ইতিহাস জাতি সংঘের হিসাব অনুযায়ী আওয়ামীলীগ মাত্র পাঁচদিনে দেড় হাজার মানুষ হত্যা করেছে।
আওয়ামীলীগের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া পায়ে হেটে জেলে গিয়েছিলেন, হুইল চেয়ারে করে বেরিয়ে এসেছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন, জুলুম অত্যাচার করেছে। উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার রফিক সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও আইনজীবিসহ সর্বস্তরের পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ