উপরে যার শেষ নেই তা হলো আকাশ, আর পৃথিবীতে যার শেষ নেই তা হলো ‘মা’। মায়ের স্নেহ, আদর এবং ভালোবাসা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুভূতি। ছোট্ট একটি নাম হলেও বিশ্বের সবচাইতে মধুরতম ডাক মা অথবা মাম্মি, মাম্মা, আম্মু।এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা।আজ বিশ্ব মা দিবস। এদিবসটি উপলক্ষ্যে নিজের মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিশ্বের সব মায়েদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১০ মে) রাতে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। বায়ান্ন টিভির পাঠকদের জন্য তার এই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরে হলো।
`আজকের এই দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মা’কে। আমি কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শনজনক আন্তর্জাতিক দিবস, এই দিবস সমাজ ও পরিবারে মায়ের গুরুত্ব ও অবদানের জন্য উদযাপন করা হয়। এই দিবসে বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালবাসা জানাতেই আজকের এই দিন। পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহিয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মাঝেও সন্তানকে আগলে রাখেন। সুমাতার সহচার্যে সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানব-সত্ত্বার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। বহু দেশ ও সংস্কৃতি মা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করে এক অসাধারণ মাত্রা দিয়েছে। মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গীত এক অনন্য দিবস-মা দিবস। পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা।
রাষ্ট্রের গণতান্তিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালবাসায়। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনার প্রতিটি মানবিক অনুভুতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা-সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সন্তানকে নির্ভূল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবলমাত্র সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যত উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়।
আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।‘
এমআর//