ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে উত্তেজনায় থমথমে হয়ে উঠেছিল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় টানা দুই দিন আলোচনা শেষে অবশেষে দুই দেশ সম্মত হয় একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে।
কিন্তু শান্তির এই চেষ্টা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার একদিনের মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ভারত ও পাকিস্তান। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে আবারও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
রোববার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, তারা চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শান্তি রক্ষায় আন্তরিক। তবে তার আগে ভারত অভিযোগ তোলে যে, পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু করেছে, এবং এর জবাবে ভারতও পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতীয় বাহিনীই যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে, তবে পাকিস্তানি সেনারা দায়িত্বশীল ও সংযমীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন বিরোধ মেটাতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ হওয়া জরুরি এবং সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাদের আরও ধৈর্য দেখানো উচিত।
এর আগেই, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ভারত দাবি করে, পাকিস্তানের দিক থেকেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
রোববার গভীর রাতে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও পাকিস্তান আবার গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এর পুরো দায় তাদেরই নিতে হবে।‘
তিনি আরও জানান, ভারতীয় সেনারা সীমান্তে সজাগ রয়েছে এবং উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে এই চুক্তি ভঙ্গ না করার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই শ্রীনগর, বারামুল্লা এবং জম্মু অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এসব হামলার পেছনে কে ছিল, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এর প্রভাব দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কে স্পষ্টভাবেই পড়তে শুরু করেছে।
এমএ//