মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে পিকনিকের লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধর ও লঞ্চ যাত্রীদের মালামাল লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে পুলিশের হাতে আটক নেহাল আহমেদ জিহাদসহ অজ্ঞাত ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১১ মে) মুক্তারপুর নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় দায়ের করা মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙর করা এম ভি ক্যাপ্টেন নামের একটি পিকনিকের লঞ্চে হানা দেয় স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এসময় নারীদের প্রকাশ্যে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন লুটের ঘটনা ঘটে বলে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
এদিকে লঞ্চে নারীদের মারধর করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সঙ্গে তরুনীদের মারধর করা জিহাদের ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে তার বিচার দাবি করে নেটিজনরা।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী নেহাল আহমেদ জিহাদকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আই/এ