রাজধানীর তেজকুনি পাড়ায় খেলার ছলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল মাত্র পাঁচ বছরের শিশু রোজা মনি। এরপর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি তার। সোমবার নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের লোকজন ছুটে বেড়িয়েছে পাড়া-মহল্লার প্রতিটি কোণায়। চোখে জল নিয়ে ঘুরেছেন অলিগলি, তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন—কিন্তু কোথাও মেলেনি রোজার সন্ধান। অবশেষে বাধ্য হয়ে মাইকিং করা হয় এলাকায়।
প্রায় ২০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের নিচে একটি ময়লার স্তূপে পড়ে থাকা বস্তা নজরে আসে স্থানীয়দের। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে তেজগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল কাদের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করি। তার বুকে গরম পানির ফোসকার মতো দাগ রয়েছে, এছাড়াও শরীরে আরও কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে হত্যার পর এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
পুলিশ জানায়, নিহত রোজা মনি সোমবার (১২ মে) বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। তাকে খুঁজতে পরিবারের সদস্যরা এলাকায় মাইকিংও করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল থেকেই একটি শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা চলছিল। সকালে ময়লার স্তূপে বস্তাবন্দি শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে সবাই চমকে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জানা যায়, নিহত রোজা মনি প্রবাসী নূরে আলমের মেয়ে। গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মনিরামপুরে। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ষষ্ঠ। পরিবারসহ সে রাজধানীর তেজকুনি পাড়ার ১৮৬/৯ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতো।
এসি//