রাজধানীর দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আজ বৃহস্পতিবারও (১৫ মে) চলছে সড়ক অবরোধ। আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল ও গুলিস্তানে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সকাল থেকেই। ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস হওয়ায় এমনিতেই রাস্তায় থাকে বাড়তি চাপ। তার ওপর কাকরাইল ও গুলিস্তানের সড়ক অবরোধ রাজধানীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও প্রভাব ফেলেছে। আগারগাঁও, মহাখালী, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মগবাজার, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, মতিঝিলসহ শহরের অধিকাংশ এলাকায় যানজটের দৃশ্য দেখা গেছে সকাল থেকে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে কাকরাইলে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে, ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে অবরোধ। গুলিস্তান মাজার গেট থেকে বঙ্গবাজারের সড়ক পর্যন্ত উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সড়ক অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কেউ হেঁটে, কেউ রিকশা, কেউবা একাধিক যানবাহন পরিবর্তন করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যানচাপ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পয়েন্টে ডাইভারশন চালু করা হয়েছে। বাংলামোটর-হেয়ার রোড, নিউমার্কেট হয়ে বিকল্প সড়কে যানচলাচল চালানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার এমনিতেই চাপ বেশি থাকে। তার ওপর দুই স্থানে অবরোধের কারণে পুরো শহরের ওপর চাপ পড়েছে। আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে রাস্তা ছেড়ে দিতে, কিন্তু তারা শুনছেন না।’
এদিকে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম জানান, কাকরাইল ও গুলিস্তানের সড়ক বন্ধ থাকায় এর চাপ পড়েছে তেজগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালীসহ আশপাশের এলাকাতেও। সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক সদস্যরা।
নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার এবং ডাইভারশন নির্দেশনা মেনে চলাচলের আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
এসি//