খেলাধুলা

বিসিবির গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতি পেয়েছে দুদক

স্পোর্টস ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার (১৭ মে) দুপুর ১ টার দিকে মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন দুদকের ৪ সদস্য।

নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ নিয়ে পর্যালোচনা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ।

দুদকের সহকারী পরিচালক জানান, ‘তৃতীয় বিভাগের বাছাইপ্রক্রিয়া, নতুন গঠনতন্ত্র এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। সেই অভিযোগের আলোকে নথিপত্র সংগ্রহ করে সকাল থেকে সেগুলো পর্যালোচনা করলাম। আমরা সবার সঙ্গে কথা বললাম। সব কাজ এখনো শেষ করতে পারিনি। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে।’

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের প্রক্রিয়া সম্পর্কে রাজু আহমেদ জানান, তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের যে বাছাই প্রক্রিয়া সেটা একসময় বেশ সহজ ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২২ সালের পর কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, সেখানে ২-৩টার বেশি দল অংশগ্রহণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে এটা অনেক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে যাচ্ছে। তাতে আমাদের জাতীয় দলের জন্য ভালো খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইনটা খুবই সীমিত হয়ে যায়। এই বিষয়টাকেই আমরা ফোকাস করেছি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এখানে এমন কিছু শর্ত দেয়া হয় যেটা আমাদের দেশের ক্লাবগুলোর জন্য...আমাদের দেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক খেলোয়াড় উঠে আসে তাদেরকে সহযোগিতা করার যে পথ, সেগুলো রুদ্ধ করা হয়েছে।

বিসিবির গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতি পেয়েছে দুদক, বিসিবি যে গঠিত হয়েছে, এটা একটা গঠনতন্ত্রের আলোকে পরিচালিত হয়, সেই গঠনতন্ত্র কতটা বৈধ এবং সিদ্ধ সেটা আমরা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে গঠনতন্ত্রে কিছু অসঙ্গতি আছে। এখানে গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্নগুলো উঠেছে, সেখানে আদালতের একটা রায় ছিল। সেই রায় অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়ে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে। গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা শেষে আমরা একটা বিষয় খেয়াল করেছি, একটা অর্গানাইজড উপায়ে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিলো বিসিবি। কিন্তু এই জায়গাতে আমরা অসঙ্গতি পেয়েছি।

বিসিবির চাকরিতে সঠিক বিধিমালা নেই বলেও জানিয়েছেন দুদকের এই সহকারী পরিচালক। তিনি বলেন, এখানে সঠিক চাকরি বিধিমালা নেই। একটা প্রতিষ্ঠান যেভাবে সুগঠিত থাকার কথা সেটা এখানে নেই। এই বিষয়টা আমরা আরও পর্যালোচনা করতে চাই। এটা নিয়ে আদতে কোনো কাজ করা হয়েছে কিনা, ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা কী, বিগত সময়ে কেন এটা ঠিক করা হয়নি, সেই বিষয়গুলো আমরা খুঁজে বের করব। এগুলোর আলোকে আমরা একটা রিপোর্ট করব। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এমএইচ//

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #বিসিবি #দুদক