ইয়েমেন থেকে ইসরাইলের দিকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রোববার (১৮ মে) ইসরাইলের সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১২-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
চ্যানেল ১২ বলছে, রোববার (১৮ মে) সকালে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে সেটিকে ভূপাতিত করে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মধ্য ইসরাইল জুড়ে সাইরেন বাজানো হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাতে চ্যানেল ১২ আরও জানায়, ইয়েমেন থেকে ইসরাইল অভিমুখে আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের চেষ্টা হয়েছিল, তবে সেটি ব্যর্থ হয়।
বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর ইসরাইলের সবচেয়ে ব্যস্ত এবং প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তবে হামলার পর কতক্ষণ এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।
এই ঘটনার মাত্র একদিন আগে ইসরাইল হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের হোদেইদা ও সালিফ বন্দরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।
আল জাজিরা জানায়, সেখানে ইসরাইলের ১৫টি যুদ্ধবিমান ৩০টির বেশি বোমা ফেলেছে। হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ওই হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেও হুতিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের সীমানায় আঘাত হানে। তখনও বিমানবন্দরের একটি সড়ক এবং একটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।
ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা বলছে, গাজায় ইসরাইলের “নির্বিচার হামলার” প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্রপথে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে এবং লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজের ওপর হামলা বন্ধ করেছে।
এই পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। ইসরাইল -হুতি সংঘাত বর্তমানে গাজা সংকটকে কেন্দ্র করে ক্রমেই বিস্তৃত আকার ধারণ করছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
এসি//