বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, জনগণকে যে অধিকার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার একটা পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের এক যৌথ সভায় তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই সভাটি আমি অত্যন্ত মূল্যবান ও তাৎপর্যপূর্ণ সভা বলে আমি মনে করি এ জন্য যে এখন আবার নতুন করে— যেটা হাজার হাজার ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে যে নতুন একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার এবং সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদমুক্ত একটা আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবার, সেখানে আমরা দেখছি—একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যে বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। এখানে গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনগুলোকে পরস্পরের মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা দেখতে পারছি যে কিছু মানুষ যারা সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।’
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সজাগ থাকতে হবে, সেইসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে, সমস্ত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য। সীমান্তের ওপার থেকে যে ষড়যন্ত্র চলছে— সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৗমত্ব বিলীন করতে না পারে।
সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর ৮ দিনব্যাপি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালিত হবে। এর মধ্যে ২৭ ও ২৮ মে ঢাকায় হবে তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশ। ২৯ মে বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই দুই দিন মৃত্যুবার্ষিকীর অন্য কোনো কর্মসূচি থাকবে না। আর ৩০ মে সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নেতাকর্মীরা।
আই/এ