রাজশাহীর বাগমারায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। জাহিদুল বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। সে এমন ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে বলে তার স্বজনেরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত ১০টায় দিকে বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দী ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মন্ডলপাড়ায় ভুক্তভোগী নারীর বাড়ির পাশে একটি খরের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়টি জানলেও থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান,গতকাল বিকেলে হামিরকুৎসা বাজার থেকে ফিরে ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ওঠে জাহিদুল। এ সময় তার হাতে দুটি কোমল পানীয়র বোতল ছিল। অনেকক্ষণ পর, পাশের খরের ঘর থেকে চিৎকার করে উঠে জাহিদুল।
প্রতিবেশীরা জানতে পেরে এগিয়ে এসে দেখেন, রক্তে তার পুরো লুঙ্গি ভিজে গেছে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভ্যান এবং পরে মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কোমল পানীয়র দুটি ফাঁকা বোতল ও রক্তমাখা স্যান্ডেল পড়ে ছিলো বলে তারা জানিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর পরিবার বলেন, জোর করে ধর্ষণের চেষ্টার কারণে এমন হয়েছে। কী দিয়ে আসলে বিশেষ অঙ্গ কাটা হয়েছে,তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
জাহিদুলের পরিবারের লোকজন বলেন, জাহিদুল আর ওই নারীর এমন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে পরিবার অনেক আগে থেকে মানা করে আসছে। রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জাহিদুলকে। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় তার। এখন শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আই/এ