ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসন আমলে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ৬ নেতাকে মামলার মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেক নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে আমাদের শীর্ষ ৬ নেতাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। আরও অনেক নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৪- এর গণ-আন্দোলনে অনেক মানুষকে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়েছে। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের এই নেতারা যদি বেঁচে থাকতেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন।’
তিনি বলেন, এই মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে বিগত সরকার সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্বচ্ছ বিচারের জন্য তাদেরকে বিভিন্ন মহল থেকে অনেক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তারা তা শুনেনি। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল আমাদের নেতৃবৃন্দকে খুন করা। কীভাবে আমাদের নেতৃবৃন্দকে খুন করা হবে তার ছক করেছিল বিচার বিভাগ।
জাময়াতের নেতারা বাতিলের কাছে মাথা নত করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেইফ হোমে নির্যাতনের পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ধরে এনে নেতৃবৃন্দকে নাজেহাল করা হতো। আমাদের অনেক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমাদের নেতৃবৃন্দ ছিলেন ঈমানের বলে বলীয়ান।
তিনি বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আজহারুল ইসলামের জন্য সাক্ষ্য দিতে আসার পর সুখরঞ্জন বালিকে তুলে নেয়া হয়েছিল। এসব রায়ে ইন্টারন্যাশনাল কোনো আইন ফলো করা হয়নি। বিচারের নামে প্রহসন চালানো হয়েছে।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি রায়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। এ রায়ের মাধ্যমে আজ প্রমাণ হয়েছে, সত্যকে চাপিয়ে রাখা যায় না। আমরা দোয়া করেছি, হে আল্লাহ এটিএম আজহারুল ইসলামকে বাঁচিয়ে রেখে সত্য প্রতিষ্ঠিত করে দিও।‘
তিনি বলেন, ‘যদি দেশের সেবা করার সুযোগ জামায়তের কাছে আসে, তবে প্রতিহিংসার রাজনীতি এ দেশ থেকে বিলুপ্ত করা হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে যা যা করণীয় জামায়াত তা করবে।’
এমএ//