অর্থনীতি

১০ মাসে ২৭ হাজার সন্দেহজনক লেনদেন

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশে সন্দেহজনক লেনদেন  বেড়েছেব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানিসহ রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং (এসটিআর) ৫৬ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে  চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (২০২৪ সালের জুলাই থেকে ১৫ মে পর্যন্ত) ২৭ হাজার ১৩০টি এসটিআর পাওয়া গেছে

মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে  বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

বিএফআইইউ জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) মোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করা হয়েছে। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ১০৬। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই তা আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গেল বছরের জুলাই মাসের পর থেকে রিপোর্টিংয়ের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়েছে।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বিগত সরকারের আমলে দেশ থেকে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।  ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। এসব ঘটনা উদঘাটন করা গেছে।

তিনি বলেন, পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। অর্থ ফেরত আনার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ছিল না। এখন আন্তঃমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ আছে।  বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

বিএফআইইউয়ের প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, অর্থপাচার ও হুন্ডি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও লেনদেন ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই প্রবণতা।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কাজ চলছে। ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে। এ কাজে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #১০ #মাসে #২৭ #হাজার #সন্দেহজনক #লেনদেন