টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চরাঞ্চলের চাষিরা।
শনিবার (১ জুন) সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বেড়েছে ৬০ সেন্টিমিটার। তবে বন্যার আশংকা নেই বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙা এবং উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া, থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নের চরাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে তলিয়ে গেছে বাদাম, মরিচ, পাটসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল।
রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, 'চরে দুই একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। কয়েকদিন আগেও নদীর পানি বেড়ে যায়। কিন্তু তেমন ক্ষতি হয়নি। এবার পানি বাড়ায় সেই ক্ষেত তলিয়ে গেছে'।
উলিপুর উপজেলার চর গোড়াইপিয়ারের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, 'ধার দেনা করে এক একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। কয়েকদিন আগে কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলো অপরিপক্ক অবস্থায় তুলে নিই। এবার বাকি অংশ তলিয়ে যাওয়ায় সেটি নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখে পড়তে হবে'।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আগামী দুইদিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ১৫টি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আই/এ