পঞ্চগড়ের পৌরসভার কাগজিয়াপাড়া কবরস্থানের কবর খুঁড়ে পাঁচটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কঙ্কাল চুরি যাওয়া মৃত ব্যক্তিরা হলেন, ২০২৪ সালে মারা যাওয়া তসিরুল আলম (৭৫), চার বছর আগে মারা যাওয়া রাইয়ান আজমি বিজয় (১৫), দুই বছর আগে মারা যাওয়া হামিদা বেগম (৭০), তোজো (৮০) ও একবছর আগে মারা যাওয়া আব্দুস সাত্তার (৭০)।
রোববার (১ জুন) দিবাগত রাতে পঞ্চগড় পৌরসভার কাগজিয়াপাড়া এলাকায় পঞ্চগড় সুগার মিল এলাকার ট্রেনিং কমপ্লেক্স ও কাগজিয়াপাড়া ঈদগাছ মাঠ সংলগ্ন কবরস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার (২ জুন) সকালে তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের তার বাবার কবর জিয়ারত করতে গেলে চোখে পড়ে খোঁড়া কবর ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মাটি। বিষয়টি তার মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পরপরই অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। একই সাথে ছুটে আসেন মৃত ব্যক্তিদের স্বজনেরা।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দিবাগত রাতে কোনো দুর্বৃত্তরা গোপনে কবরস্থানে প্রবেশ করে পাঁচটি কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো তুলে নিয়ে যায়। একই সময় একটি কবরের ওপর কালো রঙ্গের লুঙ্গি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে বাবার কবর জিয়ারত করতে কবরস্থানে যায়। সোমবার সকালে এসে ৫টি কবরের মাটি খোঁড়া দেখে গোরস্তান কমিটি ও স্থানীয়দের অবগত করি’।
দুলাল নামে আরেকজন বলেন, ‘আমার বাবা ও ভাতিজাকে এই কবরস্তানে মাটি দেয়া হয়েছে। সকালে খবর পাই যে তাদের দুজনে সহ মোট ৫ জনের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। এমন অমানবিক কাজ যে করেছে তাদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি’।
কাজিয়াপাড়া ঈদগাহ ময়দান ও কবরস্থান কমিটির সহ-সভাপতি হাসিবুল করিম বলেন, এই কবরস্থানগুলো একটি অরক্ষিত স্থান। রাতের অন্ধকারে অনেক সময় মাদক সেবন সহ বিভিন্ন রকমের মানুষ এই কবরস্থান গুলোতে আসে। একই সাথে দুর্বৃত্তরাও ঘোরাফেরা করে। এর আগেও পঞ্চগড় জেলায় এমন কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমার মতে এই স্থানগুলোতে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আরো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আই/এ
