আন্তর্জাতিক

মণিপুরে কারফিউ, বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের মণিপুর রাজ্যে। স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরমবাই তেঙ্গোল’-এর সদস্য কানন মেইতেইকে গ্রেফতারের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অস্থিরতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার (০৭ জুন) রাত থেকে বিশনুপুর জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার।

এছাড়াও, কাকচিং, থোউবল, ইম্ফল ইস্ট ও ইম্ফল ওয়েস্ট জেলায় চারজন বা তার বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে ওই পাঁচ জেলাতেই আগামী পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

রোববার (০৮ জুন) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (৭ জুন) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এবং মণিপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে ইম্ফল ওয়েস্ট এলাকা থেকে আরমবাই তেঙ্গোল (এটি) গোষ্ঠীর কথিত ‘আর্মি চিফ’ কানন মেইতেইকে গ্রেফতার করা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে পুলিশের গাড়িবহর থামিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায় রাজ্যের বিশনুপুর জেলায় শনিবার রাত থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কাকচিং, থোউবল, ইম্ফল ইস্ট ও ইম্ফল ওয়েস্ট—এই চার জেলায় চারজন বা তার বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাঁচ জেলার সকল এলাকায় আগামী পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।

থোউবল জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে বলা হয়েছে, কানন মেইতেইর গ্রেফতারির প্রতিবাদে ওই জেলায় সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এজন্য জেলার মধ্যে চারজন বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, তরবারি, লাঠি, পাথর বা অন্যান্য অস্ত্র বহন। ইম্ফলের অন্যান্য তিন জেলাতেও একই ধরনের আদেশ জারি করা হয়েছে।

আরমবাই তেঙ্গোল একটি সশস্ত্র চরমপন্থি মেইতেই গোষ্ঠী, যা ২০২৩ সালের ৩ মে রাজ্যে কুকি-জো ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। ওই সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়। এনআইএ ইতিমধ্যে সহিংসতা ও পুলিশ অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনায় অন্তত দুটি মামলা দায়ের করেছে।

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ভারত #মণিপুর রাজ্য #কারফিউ