জরুরী ত্রাণ নিয়ে গাজার কাছাকাছি সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ম্যাডলিন নামক নৌযানটিতে গ্রেটাসহ মোট ১২ জন ত্রাণকর্মী আছেন। এই নৌযানটি যেন কোনভাবেই গাজায় প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।
বিবৃতিতে কাটজ বলেন, গাজার ওপর আরোপিত নৌ অবরোধ কেউ ভাঙতে চাইলে, ইসরাইল তা কোনভাবে বরদাশত করবে না।
ত্রাণকর্মীদের ইহুদী বিরোধী আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ‘ফিরে যান, আপনারা গাজায় প্রবেশ করতে পারবেন না।’
উল্লেখ্য, সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ছাড়াও নৌযানটিতে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ও ফ্রান্সের নাগরিক রিমা হাসান। তিনি তাঁর এক্স একাউন্টে এই ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন।
সর্বশেষ পোস্টে রিমা জানান, তাদের নৌযানটি গাজা উপকূলের খুব কাছাকাছি আছে। গাজা উপকূলে পৌঁছালে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে পারে। তিনি দাবি করেন, নৌযানটিকে ঠেকাতে ইসরাইল মিসাইল বোট ও কমান্ডো বাহিনীকে মোতায়েন করেছে।
ইসরাইলি অবরোধর কারণে গাজায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। এমন অবস্থায় সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ জন স্বেচ্ছাসেবক জরুরী ত্রাণ নিয়ে উপত্যকাটির দিকে রওনা দেন।
গ্রেটাকে বহনকারী নৌযানটি মূলত ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) পরিচালিত। এতে রয়েছে— দুধ, প্রোটিন বার, শিশু খাদ্য, ডায়াপার, আটা, চাল, পানি পরিশোধন যন্ত্র, স্বাস্থ্যবিষয়ক সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পতাকাবহনকারী নৌযানটি যেন গাজায় প্রবেশ করতে না এজন্য ব্রিটেন সরকারকে কয়েকবার অনুরোধ জানিয়েছিলো ইসরাইল। তবে তেল আবিবের সেই দাবি প্রত্যাখান করে লন্ডন।
এনএস/