গেলো সপ্তাহে শতাধিক ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করে ইউক্রেন। রাগে ক্ষোভে কিয়েভের ওই হামলার জবাব বেশ ভালভাবেই দিচ্ছেন পুতিন। তবে বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা বলছেন, এর থেকেও বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।
মার্কিন কর্মকর্তাদের এই আশঙ্কা স্পষ্ট করেছে ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স। ওই বার্তা সংস্থাটি বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে এই হামলা হবে। তবে হামলার নির্দিষ্ট দিনক্ষণের কথা জানাতে পারেননি মার্কিন কর্মকর্তারা। কিন্ত একজন বলেছেন, রাশিয়ানরা অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা করবে।
পশ্চিমা বেশকিছু সূত্রও সম্ভাব্য রুশ হামলার আভাস দিয়েছে। এক জেষ্ঠ্য কূটনীতিক বলেছেন, রাশিয়ার হামলা হবে বিশাল, ভয়ঙ্কর ও একটানা।
কুটনীতিকদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন রাশিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল কফম্যান। ওয়াশিংটনভিত্তিক চিন্তক সংস্থা কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিচে কর্মরত এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক জানান, রাশিয়ার টার্গেট হতে পারে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ এর সদর দপ্তর। গেলো সপ্তাহে এই সংস্থাই রাশিয়ায় অপারেশন স্পাইডার্স ওয়েব পরিচালনা করে। এই হামলায় মস্কো মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানও রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে।
মার্কিন ও পশ্চিমা কর্মকর্তাদের এই আশঙ্কার ঠিক কয়েকদিন আগেই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। ফোনালাপের পরেই ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের নেয়ার কথা খুব জোরালোভাবে বলেছেন।
এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ট্রাম্পের আশঙ্কার মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপুর্ণ ইউক্রেনের সুমি শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নিতে এগোচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা গার্ডিয়ান বলছে, শহরটি থেকে মাত্র ২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে পুতিন বাহিনী।
এনএস/