কক্সবাজারের পর্যটন এলাকার অন্যতম সরকারি স্থাপনা হোটেল শৈবালকে ঘিরে সম্প্রতি আলোচনার ঝড় উঠেছে। টেন্ডার শিডিউল বিক্রির কাজ শুরু হলেও হঠাৎ করে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা।
গেল ১৯ মে টেন্ডার শিডিউল প্রকাশিত হলেও কয়েকদিন পর তা বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, হোটেলটির ম্যানেজার রায়হান উদ্দিন এক নারী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে শিডিউল বিক্রি না করার নির্দেশ দেন। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ওই কর্মকর্তা জানান, 'একজন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশেই শিডিউল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।'
এ ধরনের বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—সরকারি একটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক নেতার মৌখিক হস্তক্ষেপ কতটা আইনসঙ্গত?
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, একটি স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দেওয়া শুধু অনৈতিকই নয়, বরং প্রশাসনের দুর্বলতারও প্রতিফলন। তাদের আশঙ্কা, এতে করে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার অপচেষ্টা চলছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
হোটেল শৈবালের ম্যানেজার রায়হান উদ্দিনের সঙ্গে এ বিষয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি, ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, এমন অনিয়ম এই খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করতে পারে।
তাদের দাবি, এ ঘটনার পেছনে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অনিয়মের পথ খুলে যেতে পারে।
এমএ//