রাজনীতি

'বাপের বেটি হলে দেশে এসে রাজনীতি করুন’ : রাশেদ খান

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

গণঅধিকার পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় নি। আমরা সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে চেয়েছি। আমরা একটিবারের জন্যেও পদত্যাগ চায়নি। কিন্তু সরকার প্রধান পদত্যাগের নাটক করেছেন। বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। 

বুধবার (১১ জুন) সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। নির্বাচন নিয়ে দলটির ভাবনা তুলে ধরতেই এই আয়োজন।

রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা কোনোদিনই ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি করিনি, বরং সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার প্রধান পদত্যাগের নাটক সাজিয়ে জনগণের আবেগের অপব্যবহার করেছেন।’

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার শুধু নিজের সফলতার গল্প বলে, কিন্তু ব্যর্থতাগুলো ঢেকে রাখতে চায়। ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা আজ জনগণকে উপেক্ষা করে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এটা ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব নয়,’ বলেন তিনি।

সম্পদের স্বচ্ছতা নিয়ে সরকার প্রধানের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন রাশেদ খান। ‘সরকার বলেছিল, কর্মকর্তারা মাসে মাসে সম্পদের হিসাব দেবেন, কিন্তু ১০ মাসেও কেউ সেটা করেনি। বরং কয়েকজন উপদেষ্টার এপিএস-এর বিরুদ্ধে নাটকীয়ভাবে অভিযোগ তুলে বিদেশে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচনের সময়সূচি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তকে ‘অবাস্তব ও জনগণের সঙ্গে প্রহসন’ বলে মন্তব্য করেন রাশেদ খান। ‘এপ্রিল মাসের প্রচণ্ড গরমে মানুষ ভোট দিতে পারবে না—এটা সরকার জানে, তবু পরিকল্পিতভাবে এমন সময় নির্বাচন দিচ্ছে। আমাদের দাবি ছিল ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভোট,’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে শেখ পরিবারের দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত। এখনও পর্যন্ত তাদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বা সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের বৈধতা নেই। এসব নির্বাচনে অংশ নেওয়া ডামি এমপিদেরও অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কড়া সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, ‘বিদেশে বসে রাজনীতিতে উসকানি দেওয়া বন্ধ করুন। সত্যিকারের সাহস থাকলে দেশে ফিরে আসুন, রাজনীতি করুন। পালিয়ে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, ছাত্র অধিকার, যুব অধিকার এবং পৌর ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #প্রধান উপদেষ্টা #ড. ইউনূস #রাশেদ খান #গণঅধিকার পরিষদ #শেখ হাসিনা