কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা ল্যাবের সকল যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। করোনা কমে যাওয়ায় প্রায় এক বছর আগে ল্যাবটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস আগে চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও মাস খানেক আগে চুরির বিষয়টি টের পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৪ জুন) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম চুরির বিষয়টি স্বিকার করেছেন।
তিনি বলেন, চুরি একদিনে হয়নি। মনে হচ্ছে গত চার মাস ধরেই চুরির ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক মাস আগে বিষয়টি টের পেয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে। ল্যাব বন্ধের পর দেখাশোনার জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের চরম অবহেলা রয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেলের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, চুরির ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনসহ মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সেখানে যান। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালককে জানানোর পর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ওইদিনই ল্যাব থেকে আরও তিনটি পিসিআর মেশিনসহ অন্য দুই কক্ষে থাকা যন্ত্রাংশ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে সরিয়ে নেওয়া হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনা শনাক্তের জন্য যন্ত্রগুলো স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলায় করোনা পরীক্ষার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের সকল যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তদ্রুত পিসিআর ল্যাব সচল করার দাবি জানিয়েছেন কুষ্টিয়াবাসী।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল করোনা শনাক্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি একতলা ছোট ভবনে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়।
আই/এ