শনিবার রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে তাণ্ডব চালিয়েছে ইরান। মধ্যরাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত চলা এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন।
রোববার (১৫ জুন) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে। সেখানে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই আরব ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এক শহরের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, ভোররাতের আরেকটি হামলায় মধ্য ইসরাইলের বাত ইয়াম এলাকায় মারা যান ৬০ বছর বয়সী এক নারী। জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে, সেখানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন, যাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
তেলআবিব ও রামাত গানের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাও বাদ যায়নি। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এসব শহরে ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখনও হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
আলজাজিরা জানিয়েছে, আরব অধ্যুষিত যেসব শহরে হামলা হয়েছে, সেখানে আশ্রয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণহানির সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে আগ্রাসী বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরাইল। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
এ ছাড়া আবাসিক স্থানেও হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ একাধিক কমান্ডারসহ ৮০ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে।
জবাবে শুক্রবার রাতে ইরান শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে আঘাত হানে তেলআবিবে। ওই হামলায় চারজন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন।
এমএ//