দেশে মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। বর্তমানে এই ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এটি মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ হয়েছিলো ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। সেটি ছিলো মোট ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য লুকিয়ে রাখা হবেনা। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় কার্যক্রম জোরদার করে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন কঠোর আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। কিন্ত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ঋণ খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেল মার্চ মাস পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গেল ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
আই/এ