আন্তর্জাতিক

ইরানের পারমাণবিক ঝুঁকি ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন

ইরানের আক্রমণ ইসরাইলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ : ইসরাইলি মুখপাত্র

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের ইসফাহান শহরে ইসরাইলের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পর, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান প্রতিরোধ করছে। ইরানের আক্রমণ ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা আকাশে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছি।

তিনি আরও জানান, ইরানের প্রায় ৩০০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৯৯ ভাগই প্রতিহত করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে ইসরাইলের সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম ইসফাহানে ভূপাতিত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করেছে। শহরটি ইরানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা আছে। সেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত একটি স্থাপনাও রয়েছে।  

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের' আহ্বানের পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি "যুদ্ধ শুরু হয়েছে" বলে ঘোষণা করেছেন। ইরান ইসরাইলে ৩০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জবাবে ইসরাইলি বাহিনী ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে তাবরিজ বিমানঘাঁটি ও নাতাঞ্জ সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য।  

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, "তারা ইরানের আকাশে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। " তবে ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "এই স্থাপনা ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ঝুঁকি,"। এটি ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন। 

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের 'নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ' দাবি করেছেন। তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন। অবশ্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। সার্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন দেশ শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে।

এই সংঘাতে কারনে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও পারমাণবিক স্থাপনার উপর হামলার হলে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা।  

উল্লেখযোগ্য যে, ইরান ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ইসরাইলে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিলো। ওই হামলা ৯৯ ভাগই  সফলভাবে প্রতিহত করেছিলো ইসরাইল। সেই হামলায়ও ইরান ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছিল।  

এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।  মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ইরানের #আক্রমণ #ইসরাইলের #জন্য #বড় #চ্যালেঞ্জ # #ইসরাইলি #মুখপাত্র #