জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের যে প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দিয়েছে, তা নিয়ে নীতিগত দ্বিমত প্রকাশ করেছে বিএনপি। এছাড়া ৭০ হাজার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিকে ভোটার করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যে প্রস্তাব কমিশন দিয়েছে, দলটি তা সমর্থন করে না।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, এনসিসিকে সাংবিধানিকভাবে অনেক ক্ষমতা দেওয়া হলেও, এর জবাবদিহির কাঠামো নেই। তিনি বলেন, ‘এ রকম ক্ষমতাসম্পন্ন কিন্তু জবাবদিহিহীন কোনও প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত কাউন্সিলে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিচারপতি ও ডেপুটি স্পিকারকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই কাঠামোতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলেও এর জবাবদিহির বিষয়টি স্পষ্ট নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলে অনেক নির্বাচন সঠিকভাবে হতো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছাড়া কার্যকর গণতন্ত্র সম্ভব নয়।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিএনপির প্রস্তাব হলো, বর্তমান সংসদীয় কাঠামোয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমানে বিএনপি সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকেই যৌক্তিক মনে করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মনে করে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনটি দুর্বল এবং এটি সার্চ কমিটিভিত্তিক হওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়।
এ বিষয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা চাই, একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, যার জন্য আইনি সংস্কার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কমিশনের জবাবদিহি আইনে নিশ্চিত করতে হবে।’
আই/এ