ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের চলমান সংঘাতের মধ্যে ‘সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক। সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখাই এর লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান-ইসরাইল সংঘাতের কারণে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে তুরস্ক। তবে ইরান থেকে তুরস্কে এখন পর্যন্ত কোনও অনিয়মিত অভিবাসনের ঢল শুরু হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, তুরস্ক সরকার নিজদেশে তৈরি রাডার ও অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে বহুস্তরবিশিষ্ট সমন্বিত আকাশ এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ করছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেছেন, ইসরাইল তার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ ইরানে হামলা চালানোর পরপরই তুরস্কের কুইক রিঅ্যাকশন অ্যালার্ট বাহিনীর যুদ্ধবিমান আকাশে উড়েছিল। ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান যাতে আন্তর্জাতিক আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে সে লক্ষ্যে এসব বিমান এখনও টহল দিচ্ছে।
এর আগে, বুধবার (১৮ জুন) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, দখলদার ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ ও গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।
তার আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে এরদোয়ান বলেন, নেতানিয়াহু এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
তার্কিশ প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধী’ নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের গাজায় ‘যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা জার্মান নাৎসি নেতা এডলফ হিটলারকেও ছাড়িয়ে গেছে।
