ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকার হামলার জবাবে, ইসরাইলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (২২ জুন ) রাতে ইরানের এই ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রী’-এর আওতায় হামলায় ইসরাইলের তেলআবিব, রিশোন লে-জিয়ন এবং রামাত গান এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।
বিস্ফোরণে বাড়িঘরের জানালা উড়ে গেছে। রাস্তায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাড়ি পড়ে আছে। ভবনগুলোতে আগুন ধরে গেছে। ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বংস করেছে তারা। তবে অনেকগুলো সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে হামলায় কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, “এই হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বাভাবিক ও আইনসম্মত প্রতিক্রিয়া। যারা আমাদের (ইরানের ) শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে চায়, তাদের জবাব দেয়া হবেই।”
এর আগে, শনিবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্দো,নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে। তিনি দাবি করেন,“ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার পর বলেন, “ইসরাইল যেকোনো হুমকি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত।
অন্যদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্ব নেতারা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সংকট ঘনীভূত হলে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত জ্বালানি তেল ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে বেশী প্রভাব পড়ব বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।