কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদী নারী এখন নিজেই মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার (২৯ জুন) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলা আর চালিয়ে নিতে চান না।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত তার একান্ত নিজের। কেউ তাকে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করেনি কিংবা কোনো চাপ দেয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি বিচার চাই না, শুধু চাই দেশে শান্তি থাকুক।’
মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওই নারী জানান, ‘স্বামী বলেছে, মানসম্মান যা হারানোর তা গেছে। মামলা করে আর তা ফেরত আসবে না। তাই নিজের ইচ্ছেতেই মামলা তুলে নিচ্ছি।’
ঘটনার সূত্রপাত হয় গেল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে। রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে অভিযুক্ত ফজর আলী কৌশলে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন নারীটি। ওই সময় তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং ঘটনার একটি ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
ভিডিওটি শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি নতুন করে আলোচনায় আসে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, অভিযুক্ত ফজর আলী স্থানীয় শহীদ মিয়ার ছেলে। ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে কর্মরত, তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে ফজর আলীর পরিচয় গড়ে উঠেছিল আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে।
ঘটনার পর পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মূল অভিযুক্ত ফজর আলী এবং ঘটনার ভিডিও ধারণে জড়িত অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। তারা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।