রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ৬ জনের মরদেহ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, “গত ১২ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও অপরজন শিক্ষক।"
ডা. সায়েদুর জানান, ২০ জনের মরদেহ ইতোমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অশনাক্ত ৬টি মরদেহের বিষয়ে তিনি বলেন, “একজনের দেহাবশেষ উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে রাখা আছে। শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত ৭৮ জন এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪২ জন, সিএমএইচে ২৮ জন এবং ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ৩ জন (তাদের মধ্যে ২ জন আইসিইউতে) ভর্তি আছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় বিমানে এবং ভবনটিতে, যেখানে তখন বহু শিক্ষার্থী অবস্থান করছিল। ফলে হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। পরে সেনাবাহিনী ও বিজিবিও যোগ দেয়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৭৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এমএ//