জাতীয়

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত

হতাহতের তথ্য গোপন করার দাবি সত্য নয় : প্রেস উইং

বায়ান্ন প্রতিবেদন

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু।  এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৭৮ জন।  নিহতদের মধ্যে একজন নারী শিক্ষক ও বিমানের পাইলটও রয়েছেন।

দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু রয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকালে বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, “আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি দু’জন রোগী বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।”

এদিকে দুর্ঘটনাটি কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, “হতাহতের তথ্য গোপন করা হচ্ছে” এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকার নিহত ও আহতদের প্রতিটি নাম ও পরিচয় যাচাই করে তালিকা তৈরি করছে। শনাক্ত করা সম্ভব নয় এমন মরদেহের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে।

নিখোঁজদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও পরিচয় নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়ের রেজিস্টার খাতা ও অন্যান্য নথিপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এতে বলা হয়, “আপনার কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ থাকলে দয়া করে দ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।” এজন্য স্কুল প্রাঙ্গণে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতাল প্রশাসন একযোগে কাজ করছে যেন একটি সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা যায় এবং কোনো তথ্য যেন গোপন না থাকে।

সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত #উত্তরা